সুপার সাইক্লোন আম্পানের তান্ডবে ভেঙে ও ঝরে পড়েছে যশোরের শার্শা বেনাপোলের আমক্ষেত। ফজলী নেংড়া গোপালভোগ সহ সব ধরনের আম চাষীদের উঠেছে মাথায় হাত। উপজেলায় প্রায় ২৬কোটি টাকার আমের ক্ষতি হয়েছে। বিক্রি নেই আম। খেতেই নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার আম। মনের দুংখ কষ্টে আম গরু দিয়ে খাওয়াচ্ছেন –চাষীরা।
ঘুর্নিঝড়ে যশোরের শার্শা উপজেলায় ৩হাজার ১শ ৫০হেক্টর জমির আম নষ্ট হয়ে গেছে। বাগানের আম পরিপক্ষ হওয়ায় আগেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আম বিক্রি হচ্ছেনা বাজারে। কাচা পাকা কোন আম কিনছেনা কেই। ফলে বাগানেই পচে নষ্ট হচ্ছে আম। দায় দেনা করে আম চাষে সর্বশান্ত কৃষকেরা। অনেক চাষী শোক শইতে না পেরে আম বাগানেই বসে থাকছেন মাথায় হাত দিয়ে।পরিবারে নেমে এসেছে দু:শ্চিন্তা। সরকারের সহয়তার আশায় পথচেয়ে বসে আছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা।
আম চাষী আরমান আলী ,খগেন গমন্ডল ও জহির উদ্দিন বলেন,৫লাখ টিয়ে ৩টি বাগান কিনেছেন। ৮লাখ টাকার আমার বিক্রির আশা ছিল তাদের। সব শেষ হয়ে গেছে। ঝড়ে সর্বশান্ত করেছে । সরকার যদি সহযোগিতা না করে তাহলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে তাদের।শার্শা জামতলা ও উলাশির ফতেমা বেগম ,মনির হোসেন বলেন সব এলাকাজুড়ে ছিল আমের সমারহ। চাষীদেও মনে ছিল স্বপ্ন। মানুষের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
এমন ক্ষতি কখনও দেখিনি তারা। সমস্ত এলাকা ও গ্রাম জুড়ে প্রলংকলা ঝড়ে তছনছ করে দিয়েছে আম বাগান। সব চাষীর আম বাগান শুন্য হয়ে গেছে। জমিতেই নষ্ট হচ্ছে আম। খাওয়াচ্ছেন গুরু দিয়ে। দু:খ কষ্টের শেষ নেই তাদের।
দুর্যোগের সময় চাষীরা যোগাযোগ ব্যাবস্থা-লেবার ও বাজারজাত করতে না পারায় আম পচে নষ্ট হয়েছে। শার্শা বেনাপোলে আম্ফানে ২৬কোটি টাকার আম ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হযেছে।
বিকল্প ব্যাবস্থায় বিভন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চাষীদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল।